ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরকে একসাথে কোন নামে ডাকা হয় জানেন?

ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরকে একসাথে কোন নামে ডাকা হয় জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ আগেকার দিনে এমন কয়েকটি নারী ছিলেন যারা সতী এবং তাদের এই সতীত্ব দিয়ে অনেক অসাধ্য কার্যসিদ্ধি করেছেন। তবে তাদেরকে এই সতীত্বের পরীক্ষাও দিতে হয়েছে বার বার। তাদের সতীত্বের ক্ষমতা এতটায় বেশি ছিল যে তারা সব পরীক্ষাই উত্তীর্ণ হয়েছে। যেমন-রেনুকা, বেহুলা, সীতা আর অনেকে। আমরা বেহুলা, সীতার সতীত্বের পরীক্ষা দেওয়া বিষয়ে তো জানি কিন্তু এমন একটি নারী আছে যার সতীত্বের পরিক্ষা ত্রিদেব মিলে নিয়েছিলেন। আর আমরা অনেকে এই নারীর বিষয়ে জানি না। তাহলে জেনে নিন ওই নারীর সতীত্বের কথা।

হিন্দু শাস্ত্রে প্রসিদ্ধ মণিদের মধ্যে ঋষি অত্রি অন্যতম ছিলেন। যার স্ত্রী অনুসুয়ার পরীক্ষা নিতে এসেছিলেন ত্রিদেব। অনুসুয়ার সতীত্বের পরিক্ষা নেওয়ার জন্য পার্বতী, লক্ষ্মী এবং সরস্বতী তাদের স্বামী মহাদেব, নারায়ন এবং ব্রহ্মাকে মর্ত্যলোকে পাঠিয়েছিলেন। যখন অত্রি মনি তার আশ্রমে ছিলেন না তখন এই ত্রিদেব অনুসুয়ার কাছে যুবক সেজে গিয়েছিলেন। তারা ওই আশ্রমে গিয়ে অনুসুয়াকে বলেছিলেন যে তারা খুবই ক্ষুধার্ত এবং তাদের একটি অভিশাপ আছে যে তাদের উপোষ ভাঙার জন্যে অনুসুয়ার স্তনদুগ্ধ পান করতে হবে এছাড়া কিছু করলে তাদের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু অনুসুয়ার সতীত্বের জোরে ত্রিদেব বালক থেকে শিশুতে পরিণত হয়েছিলেন। আর শিশুরা সবসময় নিষ্পাপ হয়। তাই অনুসুয়া এই শিশু রূপে ত্রিদেবের ক্ষুধা নিবারণ করে নিজের কাছে রেখে লালন পালন করতে লাগলেন। এই দেখে তিনদেবী মর্তে আসেন এবং অনুসুয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে।

অনুসুয়ার ওই তিনদেবীর কথায় শিশুগুলিকে আসল রূপ প্রদান করলেন। অনুসুয়ার এই সতীত্ব দেখে ত্রিদেব আশীর্বাদ করলেন। পরবর্তী সময়ে অনুসুয়া এবং অত্রির ঘরে তার পুত্ররূপে জন্মগ্রহন করে এই ত্রিদেব যার নাম হয় দত্তাত্রেয়। এভাবেই অনুসুয়ার সতীত্বের পরিচয় পান দেবদেবীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *