নিউজ ডেস্ক – মহাভারতে পাঁচজনই একমাত্র ছিলেন যার পাঁচ স্বামীর সংসার করার সৌভাগ্য ছিল। তবে এক পৌরাণিক মতে শিবের আশীর্বাদের কারণেই পাঁচ জন স্বামীর অর্ধাঙ্গিনী হয়েছিলেন পাঞ্চালি। তবে পাঞ্চোলিকে অনেকে যাঞ্জসেনী বলেও উল্লেখ করেছেন। সে ক্ষেত্রে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে পাঞ্চালিকে কেন এমন নামে ডাকা হতো!
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সোজা। পৌরাণিক গাঁথা কিংবা মহাভারত গ্রন্থের পাতা উল্টালেই জানা যাবে এর রহস্য। বলা হয়, দ্রুপদ রাজার আয়োজিত দ্রোণ-হন্তার জন্মের যঞ্জে পুরোহিত যখন আগুনে ঘি দিচ্ছিলেন তখনই তিনি বুঝতে পারলেন যে ওই যঞ্জের আগুন থেকে শুধুমাত্র একটি কুমার জন্মাবে না, উপরন্তু একটি কুমারীও জন্মাবে। পুরোহিত দ্রুপদ রাজার স্ত্রীকে বলেছিলেন – তুমি পুত্র ও কন্যা দুই পাবে রানি।পুরোহিত যঞ্জে আহুতি দেওয়া মাত্রই সেই আগুন থেকে জন্ম নিলেন কুমার ধৃষ্টদ্যুম্ন এবং সেই একই বেদী থেকেই জন্মালেন কুমারী পাঞ্চালি। দ্রুপদের পুত্রেষ্টি যঞ্জে পুত্র এবং কন্যার জন্ম হয়েছিল। বেদীর আগুন থেকেই দ্রৌপদীর জন্ম তাই তাকে যাঞ্জসেনী বলা হয়। আগুন দ্রৌপদীর চরিত্রে। নিত্যসঙ্গী পঞ্চপান্ডব এই আগুনে সোনার মতো পুড়ে পুড়ে শুদ্ধ হয়েছেন। অথচ দূরের যারা, যতবার এই আগুনে হাত দিয়েছেন, ততবারই তাদের হাত পুড়েছে, কপাল পুড়েছে, গোটা বংশ ছারখার হয়ে গেছে।