নিউজ ডেস্কঃ সমুদ্রে এক বিপুল পরিমাণ জীববৈচিত্র্য দেখা যায়,তারা যেমন একদিকে সমুদ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমন আরেকদিকে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে। সমুদ্রের বসবাস করা বিপুল পরিমাণ প্রাণীর মধ্যে কিছু জীব যেমন নেহাতই শান্ত কেউবা তেমনই ভয়ঙ্কর। তবে সমুদ্রে বাস করা প্রাণঘাতী প্রাণী বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি বৃহৎ হাঙর বা বিষধর সাপের কথা।
কিন্তু সবথেকে প্রাণঘাতী প্রাণীটি কিন্তু আকারে নেহাতই ছোট এবং দেখতেও নিতান্তই ভালো। আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন সমুদ্রে বাস করা সবচেয়ে বিষধর প্রাণীটি আসলে এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে বাস করা একটি জেলিফিশ।পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীর মুকুটটি পরে বসে আছে এই অদ্ভুত সুন্দর প্রানীটি। দেখতে অপরুপ হলেও এটি সাক্ষাত মৃত্যুদুত। এর বিষ পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী। সাধারনত গভীর সমুদ্রে থাকলেও মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে এরা তীরের নিকটবর্তী অঞ্চলে এসে পরে।খাদ্যের খোঁজে মানুষের আশেপাশে এসে গেলে নিজেদেরকে আক্রান্ত বোধ করে এবং তাদের বিষাক্ত হুল দ্বারা আক্রমণ করে। বেশিরভাগ সময়ে মানুষের পায়ে আক্রমন করে এরা।
এদের বিষ এতটাই ভয়ঙ্কর যে তা সরাসরি মানুষের হার্ট, নার্ভ সিস্টেম এবং স্কিন সেল গুলোকে আক্রমন করে এবং নষ্ট করে ফেলে।
বক্স জেলিফিসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তি সঙ্গে সঙ্গে প্রবলভাবে কাঁপতে থাকে এবং তখন আস্তে আস্তে ডুবে যায় অথবা তীরে পৌঁছানোর পূর্বেই মারা যায়। আর যারা জীবিত থাকে তারা ব্যাথা ও দূর্বলতা নিয়েই বেঁচে থাকে। যদি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়া যায় তাহলে বাঁচার আশা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
এর বিষের সবচেয়ে ভালো ফার্স্ট এইড ভিনিগার। বিষক্রিয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে (কমপক্ষে) ভিনিগার দিতে হবে। ভিনিগারে আছে acetic acid যা জেলি ফিসের বিষকে রক্তে মিশে যেতে বাধা প্রদান করে এবং সেই সাথে ব্যথাও উপশম করে।আর এরপরই আক্রান্তের দরকার দ্রুত চিকিৎসা।