আজকাল প্রায় দেখা যায় বয়স ৮ হোক কিংবা আশি- এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষই অল্প কাজ করলে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং হাত বা পায়ের পেশীতেও টান ধরে। এই সংক্রান্ত সমস্যা পেশির দুর্বলতার জন্য ঘটে থাকে। তবে বেশি বয়সে পেশির দুর্বলতা দেখা দিলে,পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেশির দুর্বলতা দূর করতে মোক্ষম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই-এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণাবলীও রয়েছে।
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ যেমন কোষের ক্ষতি করে তেমনি বাড়িয়ে দেয় ত্বক ও চুলের সমস্যা। এর ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানে কাজে আসে ভিটামিন ই। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পেশির টান কমাতেও সহায়তা করে।
আইসিএমআর (Indian Council of Medical Research) অনুযায়ী, একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৭.৫ মিলিগ্রাম থেকে ১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই প্রয়োজন। তবে বয়স ভেদে বদলে যায় এই ভিটামিনের চাহিদা। পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ও স্তন্যদায়িনী মায়েদের ক্ষেত্রেও এই চাহিদার কিছুটা হেরফের হয়। তবে দেহে যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম ভিটামিন ই থাকে তাহলে নানান রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন ফ্যাট শোষণে সমস্যা হয়। দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও। শারীরিক দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়াও অস্বাভাবিক নয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার যেমন ( নিরামিষের মধ্যে) বিভিন্ন দানাশস্য, কাঠ বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, আম ও কিউয়ি ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে এবং আমিষ খাবারের মধ্যে স্যামন মাছ, লবস্টার, হাঁসের মাংস ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে মেলে ভিটামিন ই।