নিউজ ডেস্ক – বর্তমান যুগে গালে টোল পরাকে সৌন্দর্যতার অন্য একটি দিক হিসেবে মানা হয়। কিন্তু একটা জিনিস ভাববার বিষয় যে শুধুমাত্র গালেই টোল পরে কেন! অনেকে মনে করেন যারা অত্যাধিক সুন্দর হয় তাদের গালে টোল পরে। আবার একাংশের বক্তব্য জেনেটিক কারণে টোল পরতে পারে। তবে টোল পরার সঠিক কারণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। একদিকে রয়েছে মানুষের মতামত অন্যদিকে রয়েছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি।
সাধারণ মানুষের মতামত অনুযায়ী, বাবা-মায়ের মধ্যে কারোর টোল থাকলে বাচ্চাদের টোল পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। মাংসপেশির কারণেই মূলত টোল সৃষ্টি হয়। একটু বিস্তারিতভাবেই বলা যাক। মানবদেহের মুখে গালের সাইডে জাইগোম্যাটিকাস মেজর নামে একটি পেশি থাকে। পেশিটি মুখমণ্ডলের জাইগোম্যাটিক অস্থি থেকে তৈরি হয়ে মুখের এক কোণায় লেগে থাকে। সাধারণত পেশি বিভক্ত হয় না। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই জাইগোম্যাটিকাস মেজর পেশীটি খন্ডিত থাকে এবং এর নিচের অংশ গালের একটু নীচে লেগে থাকে। সেই কারণে এমন বিভাগ তো পেশিয়ানা ব্যক্তি হাসলে কিংবা কথা বললে তাদের গালে টোল পরে। অনেকেরই এই টোল জন্মগত থাকে অনেকের বড় হওয়ার সাথে সাথে তৈরি হয়। আবার কিছু মানুষের ছোটবেলায় থাকলেও বড় হতে হতে সেটি মিলিয়ে যায়। অর্থাৎ মূল কথা হলো এটাই যে মানুষের গালের মাংসপেশি যেমন থাকবে তার উপরে নির্ভর করবে টোল পরা।
অন্যদিকে, চিকিৎসার বিজ্ঞানের বিশ্লেষণ মতে
কোন মা-বাবার কারো একজনের টোল থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা প্রায় ২৫-৫০ শতাংশ। এক্ষেত্রে দুজনের একজনের টোল সৃষ্টিকারী জিন সন্তানের মধ্যে থাকলেই চলবে। কিংবা মা-বাবা দুজনের-ই থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা ৫০-১০০ শতাংশ।
মা-বাবা কারোর-ই না থাকলে সন্তানের থাকার সম্ভাবনা নেই, যদিনা সে কোন জেনেটিক মিউটেশন শিকার হয়। আবার যাদের গালি চর্বি বেশি তাদের টোল পরার সম্ভাবনা থাকে।