নিউজ ডেস্কঃ মাকড়সা আমরা কমবেশি সকলেই ভয় পেয়ে থাকি। বিশেষত তা যদি হয় বড় আকারের!তবে বাড়িতে আমরা যে ধরনের মাকড়সা দেখে তারা বিষধর হয় না বললেই চলে।তবে বিষধর হোক বা না হোক আমরা কেউই চাইবোনা জীবনে কখনো মাকড়সার কামড় খেতে। কিছু কিছু মাকড়সা বিষধর হয় এটা আমরা সকলেই জানি কিন্তু তাদের বিশেষ তীব্রতা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই নিয়ে আমাদের ধারণা বেশ কমই।
মাকড়সার জগতে সবচেয়ে কুখ্যাত হল ব্ল্যাক উইডো স্পাইডার। খুব বেশি বিষাক্ত না হয়েও ভয়ঙ্কর চেহারার জন্য বেশ ভালোই ভীতির সঞ্চার করে এই মাকড়সাটি। তবে তাকে হারিয়ে দিয়ে সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সা হিসেবে নাম উঠে এসেছে ব্রাজিলের ভ্রাম্যমাণ মাকড়সা বা ‘ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারিং স্পাইডার’এর। এদের আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়। তবে অনেক সময়ই এরা লোকালয়ে এসে যায়। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার দিনের বেলা এরা অনেক সময় জামার ভাঁজ জুতোর ভেতর বা আসবাবপত্রের পেছনে লুকিয়ে থাকে আর এভাবে অনেক সময় এরা মানুষের সংস্পর্শে চলে আসে।
আচরণের দিক থেকেও এই মাকড়সা অন্য মাকড়সাদের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। অন্য মাকড়সারা নিজেদেরকে আক্রান্ত মনে করলে তবেই আক্রমণ করে কিন্তু এই মাকড়সা সেই সমস্ত জিনিসের পরোয়া করে না। কেউ যদি তাকে ভয় না-ও দেখায় তারপরও সে তাকে তাড়া করে বসে।
এর বিষ এতটাই তীব্র যে এর বিষের প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী বেদনাদায়ক খিচুনি, চরম ব্যথা, শ্বাস কষ্ট দেখা দেয় এবং সময়মত প্রতিশেধক না নিলে মৃত্যু ও ঘটতে পারে।
কিন্ত সময় এসেছে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করার।ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারিং মাকড়শা প্রচন্ড বিষাক্ত হলেও এর কামড় শরীরে সৃষ্টি করে এমন এক উত্তেজনা যা তৎক্ষণাৎ পুরুষাঙ্গে ইরেকশন ঘটায়।
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে এর বিষ নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন। বিষের কোন অংশটি পুরুষাঙ্গে ইরেকশনের জন্য দায়ী তা খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এই গবেষণা সফল হলে ভায়াগ্রার পরিবর্তে এই বিষের ব্যবহার সেক্সুয়াল সমস্যায়ও কার্যকর হবে বলেই মনে করা হয়।