আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়ানক ভৌতিক স্থানের নাম কি জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীর সমস্ত দেশেই কোন না কোন ভৌতিক স্থান রয়েছে যা অত্যন্ত সাহসী  লোকের মনেও ভয় সঞ্চার করার জন্য যথেষ্ট ।তবে অশরীরী আত্মার বাসস্থান বললে প্রথমেই জনমানবহীন ভেঙে পড়া পুরাতন বিল্ডিং, কবরখানা  ইত্যাদি বোঝায়। কিন্তু ,সব সময় বোধহয় তা হয় না। আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়ানক ভৌতিক স্থানের কথা বললেই শীর্ষে উঠে আসে একটি হোটেলের নাম।১৬২৫ সালে নির্মিত বেলিগালি ক্যাসেল ।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের আনট্রিম কাউন্টির অধীনস্থ বেলিগালি গ্রামে অবস্থিত এটি । আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো বিল্ডিং গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ।এটি আয়ারল্যান্ডে ১৭০০ শতাব্দীতে তৈরি হওয়া একমাত্র বিল্ডিং যা এখনো মানুষের বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে । ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে জানা যায় ১৬২৫ সালে জেমস শ নামে এক স্কটিশ ব্যক্তি এই অঞ্চলে এসে তৎকালীন আর্ল অফ আনট্রিমের কাছ জমি নিয়ে এই বেলিগালি ক্যাসেল নির্মাণ করেন। তবে ,১৯৫০ সালের পর মালিকানা পরিবর্তিত হলে এই প্রাসাদ কে একটি হোটেলে রূপান্তরিত করা হয় ।

তবে অসামান্য স্কটিশ স্টাইলে তৈরি প্রাচীন এই প্রাসাদটি মূলত পরিচিতি পেয়েছে এই হোটেলে ঘটা ভুতুড়ে ঘটনা গুলির জন্য ।রাত বাড়ার সাথে সাথে এই হোটেলের শুরু হয় নানা ভৌতিক কর্মকাণ্ড ।স্থানীয় লোকেরা মনে করেন যে এই হোটেলে থাকতে এসে যারাই মারা গেছেন তাদের প্রায় সকলেরই আত্মা এই হোটেলেই থেকে গেছে আর রাতের বেলা তারাই অবাধে বিচরণ করে বেড়ায় এখানে । এই হোটেলের কথা উঠলেই সব থেকে বেশি শোনা যায় লেডি ইসোবেল শ-এর কথা । শোনা যায় তার নাকি এক অদ্ভুত স্বভাব ছিল তিনি প্রায়ই প্রাসাদের অন্য বাসিন্দাদের বিরক্ত করার জন্য তাদের দরজায় টোকা দিয়ে পালাতেন তিনি। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে ইসোবেলের স্বামী  প্রাসাদের অন্যান্যদের কথায় তাকে প্রাসাদের একটি কামরায় আটকে রাখেন কিন্তু তাতে অভিমান করে ইসোবেল আত্মহত্যা করেন। মনে করা হয় এরপর থেকেই প্রাসাদে অভিশাপে ছায়া নেমে আসে ।

হোটেলের স্টাফ ও পর্যটকদের কথা অনুযায়ী  এখনো রাত হলেই হোটেলের বিভিন্ন রুমের দরজায় টোকার শব্দ শোনা যায় । আর অদ্ভুত ব্যাপার হল  দরজা খুললেই দেখা যায় না আর কাউকে ! তবে শুধু লেডি ইসোবেল মারা যাননি এখানে ।শোনা যায়  ম্যাডাম নিক্সন নামে আরও একজন মহিলা এই হোটেলে মারা যান। এমনকি এখনো অন্ধকার হলেই হোটেলের  করিডরে দেখা মেলে তার ।কখনো কখনো সিলিকেট ড্রেস পড়ে তার হেঁটে যাওয়ার আওয়াজ শোনা যায় ।তবে সারা হোটেলের মধ্যে সবথেকে বেশি ভৌতিক আচরণ দেখতে পাওয়া যায় হোটেলের দক্ষিণ দিকের গম্বুজের নিচের  ছোট রুমটিতে । আর তা থেকেই এই রুমটির নাম হয়েছে ‘দ্য ঘোস্ট রুম’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *