বর্ষাকালে কত বৃষ্টির পরিমাণ আগে থেকেই জানিয়ে দেয় জগন্নাথদেবের এই মন্দির। জানুন বিস্তারিত

বর্ষাকালে কত বৃষ্টির পরিমাণ আগে থেকেই জানিয়ে দেয় জগন্নাথদেবের এই মন্দির। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষে এমন অনেক মন্দির আছে যার মধ্যে রয়েছে অনেক রহস্য। আর এই রকমই একটি মন্দির হল উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীণ মন্দির। যেখানে রয়েছে এক হাজার বছরের পুরনো ভগবান জগন্নাথের মূর্তি। এই মন্দিরের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা এবং অবাক করা রহস্য, যা অনেকের কাছেই অজানা এবং  যার ব্যাখ্যা অনেক চিন্তা ভাবনা করে সঠিক যুক্তি দিয়ে করা যায় না।এমনকি প্রচুর গবেষণা করে গবেষকরা এই মন্দিরের রহস্য ভেদ করতে পারেন নি।কানপুরের জগন্নাথ মন্দিরের বেশ এমন কয়েকটি রহস্য আছে যা আপনাকে চমকে দিতে পারে। কি কি রহস্য লুকিয়ে জগন্নাথদেবের এই মন্দিরের মধ্যে।

১।এই স্থান কতটা পুরানো তা নিয়ে নানান মতামত প্রচলিত রয়েছে।ঐতিহাসিকদের মতে এই জায়গা বুদ্ধের সময়।আবার অনেকে মনে করে যে এই মন্দির ৪২০০ বছরের পুরনো এবং এর বাইরের অংশ ১৮০০ বছর পুরনো।

২।এই স্থানের গঠন এবং মূর্তি নির্মাণশৈলী দুই বেশ অনন্য।এই মন্দিরটিতে এক হাজার বছরের পুরনো ভগবান জগন্নাথের মূর্তি রয়েছে।এবং রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি অবতারের বিগ্রহ।

৩।এই মন্দিরের বিশেষত হল যে মন্দিরের গর্ভগৃহে এক বিশাল পাথর রয়েছে যা বর্ষাকালে কত বৃষ্টি হবে তা বর্ষার আগেই নির্ধারণ করে দেয়।এইজন্য এই মন্দিরটিকে রেইন টেম্পল বা বর্ষা মন্দিরও বলা হয়।কোনো কারন ছাড়ায় এই পাথর থেকে জল নির্গত হতে থাকে।এবং এই নির্গত জল ইঙ্গিত দেয় যে সে বছর বৃষ্টির পরিমান বেশি হবে নাকি কম।তবে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর এই পাথর থেকে জল নির্গত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

৪। কানপুরে জগন্নাথদেবের মন্দিরের চূড়ায় একটি চক্র লাগানো রয়েছে যেই কারনে বর্ষার সময় এই গ্রামে বজ্রপাত হয় না।

 বিজ্ঞানীরা এই মন্দিরের উপর বহুবার নানান পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়েছে ওই পাথর থেকে জল নির্গত হওয়ার রহস্যভেদ করার জন্য।কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।তাই এই মন্দিরের পাথর থেকে জল নির্গত হওয়ার রহস্য আজ পর্যন্ত মানুষের কাছে রহস্যই হয়ে রয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *