নিউজ ডেস্কঃ গান্ধীজী যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন।তিনি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তার দেশের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন।তার কৃতিত্বের জন্য তিনি অমর হয়ে রয়েছে দেশবাসীর মনে।তাই দেশের প্রতি তিনি যা যা করেছে তা আমাদের প্রায় সবটায় জানা।কিন্তু তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনে কি কি করেছিলেন সেটা হয়ত অনেকটায় না জানা আমাদের কাছে।ঠিক এই না জানা বিষয়ে মধ্যে একটি হল যে তিনি বিবাহিত হওয়া সত্বেও ব্রহ্মচর্যে ব্রত গ্রহণ করেন।কিন্তু কেন তিনি ব্রহ্মচারী হয়েছিলেন?
গান্ধীর ষোল বছর বয়সে তার বাবা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।তখন গান্ধীজী তার বাবার অসুস্থতার পুরো সময় তার সাথে থাকেন। কিন্তু একরাতে গান্ধীজীর কাকা এসে তাকে বিশ্রাম নেবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।তিনি তার শোবার ঘরে ফিরে যান তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে বিছানায় যৌনকর্মে ব্যস্ত হয়ে যান।তারপর তিনি তাঁর বাবার মৃত্যুর মৃত্যুসংবাদ পান।আর এই কারনে তিনি তাঁর বাবার মৃত্যুর মুহূর্তে কাছে থাকতে পারেননি ।আর এই ঘটনাটির জন্য গান্ধীজী ৩৬ বছর বয়সে বিবাহিত থাকা অবস্থায় একজন ব্রহ্মচারী হতে বাধ্য হন।এমনকি তিনি নিজের ব্রহ্মচর্য যাচাইয়ের জন্য একটি বিতর্কিত পরীক্ষা চালাতে গিয়ে নাতনি মানু গান্ধী এবং অন্য নারীদের তাঁর সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে বললেন, যেখানে তিনি নগ্ন হয়ে ঘুমাতেন।এবং এটি একটি উদ্দেশ্য ছিল যে তিনি তাঁর যৌন আকাঙ্ক্ষাকে সম্পূর্ণ জয় করতে পেরেছেন কিনা জীবনীকার রমাচন্দ্র গুহ এমনটাই লিখেছেন। পরীক্ষাটি মাত্র দু’সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল তবে তিনি কোনো নারীদের সঙ্গে কোনধরনের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায় না। তবে এই বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।