ইনডোর গেম না আউটডোর? প্রশ্নটা শুনে একটু হতবাক হচ্ছেন? আসলে হতবাক হওয়ারই কথা। কারন এখন মানুষের কাছে সুযোগ অনেক থাকলেও খেলাধুলার কথা শুনলে সবার আগে মোবাইল গেমের কথা মাথায় আসে। কারন একাধিক মোবাইল গেম এতবেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যা আরও বেশি মানুষকে ইনডোর গেমের প্রতি আকৃষ্ট করছে। এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হল এই যে এতো মানুষ মোবাইল গেম খেলতে গিয়ে আত্মহত্যা করছে তাতেও মানুষের টনক নড়ছেনা। কারন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যুগে আট থেকে আশি সকলেরই প্রিয় মোবাইল গেম। আর যার ফলে বাড়ির বড়দের জন্য একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাড়ির বাচ্চাদের। কারন বাড়ির বাচ্চাদের খুশি করার জন্য বাইরে খেলতে না নিয়ে গিয়ে বাড়ির ভেতরে কোনও ফেভারিট কার্টুন চরিত্র চালিয়ে দেওয়া বা হাতে মোবাইল গেম দিয়ে বসিয়ে দেওয়া। আর সেই কারন বশত একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই বাচ্চাদের। তাদের ওজন বা বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছেনা। আসলে এই পুরো ব্যাপারটার পেছনে রয়েছে পুষ্টির অভাব।
আর সেই পুষ্টি কিভাবে পূরণ করা হবে? বা বাচ্চাদের কিভাবে উচ্চতা বা ওজন বাড়ানো যেতে পারে?
সঠিক পুষ্টিঃ পিতামাতাকে খেয়াল রাখতে বাচ্চার সঠিক পুষ্টি হচ্ছে কিনা! কারন বাচ্চার পুষ্টির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বিশেষ করে ডাল, ভাত এবং ডিম খেলেই পুষ্টির অনেকটাই পাওয়া যায় বলে মত ডাক্তার সুমন পোদ্দারের।
সঠিক খেলাধুলাঃ বাচ্চাদের খেলাধুলার উপর নজর রাখতে। ইনডোর নয় বাইরে অর্থাৎ মাঠে নিয়ে যেতে হবে, যাতে বাইরের মানুষের সাথে মেশার পাশাপাশি বাইরের গাছপালা দেখতে পারে। কারন গাছের সবুজ রং মন এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সঠিক প্রতিপালনঃ বাচ্চাদেরকে সঠিকভাবে বড় করে তুলতে হবে। যাতে সকলের সাথে মিশতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারন বেশি মানুষের সাথে মিশতে পারলে শরীর এবং মন দুইই ভালো থাকে।
শুধুতাই নয় বাড়ির বড়দেরকেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাদেরও সময় দিতে হবে বাচ্চাদেরকে। নিজেকে সর্বদা ব্যস্ত রাখলে চলবেনা, বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চাদের সামনে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ না করাই শ্রেয়।