নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়ছে,একটি টুথপেস্টে মাত্র দুটি উপাদান থাকলেই সেই টুথপেস্ট দাঁত ও মুখগহ্বর পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট।কি সেই দুটি উপাদান? চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী সেগুলো হলো ‘অ্যাব্রেসিভ্স’ এবং ‘ফ্লুরাইড’। তাই টুথপেস্ট কেনার সময় এই দুটি উপাদান আছে কিনা তা দেখে নেওয়া ভীষণ জরুরি।প্যাকেটের গায়ের উপকরণের তালিকা পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এই উপাদানগুলোর বিশেষত্ব-
অ্যাব্রেসিভ্স: টুথপেস্ট’য়ের প্রধান কাজ হলো দাঁত কে ঘষে মেজে পরিষ্কার করা। এই কাজ করতে সাহায্য করে ‘অ্যাব্রেসিভ্স’ ধরনের উপাদানগুলো।
টুথপেস্টে যেসব ‘অ্যাব্রেসিভ’গুলো থাকে সেগুলো হল ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, সিলিকা এবং ম্যাগনেসিয়াম কমপাউন্ড। এই উপাদানগুলোর দ্বারাই ঘর্ষণের মাধ্যমে দাঁতের চারপাশে, জিহ্বার উপরে জমা ‘প্লাক’ পরিষ্কার হয়।আবার কিছু টুথপেস্টে ‘অ্যাব্রেসিভ্স’ হিসেবে কয়লাও ব্যবহার করা হয়।কিন্তু তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।কারণ কয়লাযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করে বেশি চাপ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে তাতে দাঁত ক্ষয়ে যায়।এর পাশাপাশি নানান সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
ফ্লুরাইড: এই শব্দটি টুথপেস্ট’য়ের বিজ্ঞাপনে অনেকেই শুনে থাকবেন। তবে এর কাজ কী সেটা অনেকেরই অজানা।
দাঁত ও তার চারপাশে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না।কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া গুলি দাঁতের স্বাভাবিক ক্যালসিয়ামের আস্তর নষ্ট করে দাঁত গলিয়ে ফেলতে চেষ্টা করে।
শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ধাপে আছে দাঁতে, যা প্রাকৃতিক ক্যালসিয়ামের মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয়পূরণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর ‘ফ্লুরাইড এর কাজ এখানেই’।
‘রিমিনারালাইজেশন’ প্রক্রিয়ায় সহায়তার দ্বারা দাঁতকে শক্তিশালীভাবে পুনর্গঠিত করা ‘ফ্লুরাইড’ এর কাজ। তাই এই উপাদান সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া আরও কিছু উপাদান টুথপেস্টে থাকে। যেমন- দাঁত সাদা করতে পারে এমন উপাদান।এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপাদানও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এগুলো বাড়তি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা পালন করে না।তবে দিনে অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করা এবং আর নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন দন্ত বিশেষজ্ঞরা।তাহলে এমনই সুন্দর ঝলমলে দাঁত পাওয়া যেতে পারে সব টুথ পেস্টের দ্বারাই।