মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। বেশী ঘুমালে যে ক্ষতি গুলি হতে পারে

নিউজ ডেস্কঃ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পরিমিত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো শারীরিক দুর্বলতা বা অসুস্থতায় ঘুম কাজ করে ঠিক ম্যাজিকের মত। বয়সভেদে পর্যাপ্ত ঘুমের সময়সীমা ও আলাদা আলাদা হয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে একজন স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা।পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব একদিকে যেমন মনকে অবসাদগ্রস্ত ও খিটখিটে করে তোলে এমনকি শরীরকে করে দেয় খুবই দুর্বল। তাই, পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল।কিন্তু এই ঘুম ও যদি অতিরিক্ত হয়ে  যায় তবে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা

ওজন বৃদ্ধি
ওজন কমানোর জন্য যে কোনো ডায়েটিশিয়ানের কাছে গেলে বা স্বাস্থ্য চর্চা শুরু করলে বিশেষজ্ঞরা সবথেকে প্রথমেই বলে সঠিক খাদ্যের সাথে পর্যাপ্ত ঘুমের কথা। কিন্তু এই ঘুম যদি পর্যাপ্তর থেকে বেশি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বিপদ।এই অতিরিক্ত ঘুম থেকে আপনার ওজন কিন্তু অনেকটা বেড়ে যেতে পারে কারণ এর ফলে শরীরে চর্বির মাত্রা বেড়ে যায়।

মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন

মাথা ধরলে আমাদের অনেকেরই স্বভাব করে একটু ঘুমিয়ে নেওয়া।কিন্তু যা অনেকেই জানেনা তা হল ঘুম মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। একে ওইকেন্ড হেডএক বলে।

হৃদরোগ

বেশি ঘুমালে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। গবেষণায় বলা হয়, নয় থেকে ১১ ঘণ্টার ঘুম আটাশ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

আলঝাইমার রোগ

যারা বেশি ঘুমায় তাদের আলঝাইমার রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বেশি ঘুমালে মস্তিষ্কের বয়স বাড়ে। আর এ থেকে এই সমস্যা হতে পারে।

কোমর ব্যথা

বেশি ঘুমানো কোমর ব্যথার একটি কারণ। টানা ভুল অঙ্গ বিন্যাসে শোয়া পেশির ব্যথা ও জড়তা তৈরি করে। আর এ থেকে কোমর ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

ক্লান্তিকর ঘুম

শরীরের ক্লান্তি কমাতে ঘুমের প্রয়োজন অবশ্যই কিন্তু  ‌অতিরিক্ত ঘুম আপনাকে ক্লান্ত করে তুলবে। যা দিনের বেলায় কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *