ডাবের জল নিয়মিত খেলে খুব সহজেই এড়ানো যায় কিডনির বিভিন্ন সমস্যা।কিন্তু জানেন কি?

নিউজ ডেস্কঃ ডাবের জল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর উপকারিতা ও নেহাত কম নয়। তীব্র গ্রীষ্মের দাহনে ডাবের জলের থেকে বেশি ভালো আর কিছু হতে পারে কি?ছোট থেকেই বড়দের কাছেই হোক বা বর্তমানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছে,আমরা প্রত্যেকেই প্রায় জানে ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা। শরীরকে যেমন বেহারাম তেমনই শরীরকে সুস্থ ও সচল ও রাখে। কিন্তু এই ডাবের জল ই কখনো কখনো ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে আমাদের শরীরের জন্য।

ডাবের জল নিয়মিত খেলে খুব সহজেই এড়ানো যায় কিডনির বিভিন্ন সমস্যা।কিন্তু জানেন কি? কিডনির রোগ থাকলে কিন্তু ডাবের জল আপনার সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ কিডনি অকার্যকর হলে শরীরের অতিরিক্ত পটাশিয়াম দেহ থেকে বের হয় না৷ ফলে ডাবের জল পটাশিয়াম ও দেহের পটাশিয়াম একসাথে কিডনি ও হৃদপিণ্ড দুটোই অকার্যকর করে দেয়৷ এই অবস্থায় রোগীর মুত্যু অনিবার্য৷ তাই যাদের দেহে প্রচুর পটাশিয়াম আছে এবং বের হয় না তাদের ডাবের জল খাওয়া ঠিক না৷ এক্ষেত্রে ডাবের জল রোগীকে দেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

অনেকদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন? কিন্তু কিছুতেই কমছে না?এরকম অবস্থায় কিন্তু ডাবের জল আপনার পুরোপুরি বর্জন করাই উচিত হবে। কারণ ডাবের জলের কিন্তু থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। এমনকি অন্যান্য অনেক ফলের রসের থেকেই ডাবের জলে ক্যালরির পরিমাণ  বেশি।

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে থাকা সোডিয়াম রক্তাচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই বেশি তাদের ডাবের জল প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। তবে সপ্তাহে দু’একদিন খেতেই পারেন।

অনেকেই হয়তো জানেন না রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ডাবের জল।ডাবের জলে চিনির পরিমান কম থাকলেও কার্বহাইড্রেট ও ক্যালরি অধিক মাত্রায় থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডাবের জল প্রতিদিন খাওয়া উচিত্ নয়। ডায়বেটিস থাকলে ডাবের জল এড়িয়ে যাওয়াই উচিত্।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *