কিছু চটপটি হোক কিংবা খাবারের স্বাদ বাড়াতে সর্বদাই ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিট লবণ। হামেশা মুখোরোচক খাবারের অংশীদার এই লবণ। তবে মুখের স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিট লবণ খেলেও এতে রয়েছে বিশেষ কিছু উপকারিতা। শরীরের ত্বক ভালো রাখা থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত ভাল রাখতে সাহায্য করে এই বিট লবণ, জানাচ্ছেন খোদ চিকিৎসকরাই। কারণ এই বিট লবণে রয়েছে কালো বা গোলাপি আভাযুক্ত এক ধরণের খনিজ পদার্থ। এছাড়াও আছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান।
চিকিৎসকদের মতে এই বিট লবণের মাধ্যমে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলি হল –
১) অ্যাসিডিটি কমায় – মানব শরীরের পিত্তথলি নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা নেয় বিট লবণ। কারণ এই লবণ লিভারের পিত্ত উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে যার কারণে অ্যাসিডিটি কিংবা পেট ফোলা ভাব হয় না। অর্থাৎ শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বিট লবণ।
২) হজম শক্তি বাড়ায় – যেহেতু বিট লবণের কারণে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এই বিট লবনের মাধ্যমে। কারোর হজম ক্ষমতা কম থাকলে বিট লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৩) রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা – হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কোলেস্টেরল জমাট বাঁধা রোধ করে বিট লবণ। যার কারণে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা ভালো থাকে।
৪) চুল মজবুত করে – চুল ভাল রাখতে খাদ্য তালিকার মধ্যে উপকারী হলো বিট লবণ। বিট লবণে থাকা মিনারেলস চুল পরা ও চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
৫) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে – চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নতেও এগিয়ে বিট লবণ। ত্বকের ক্ষেত্রে বিট লবণে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বিশেষ কার্যকরী।