হজমে উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ ৮ টি উপকারিতা

হজমে উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ ৮ টি উপকারিতা

সাধারন সর্দি- কাশি নিরাময়ে সাহায্য করেঃ  হেলেঞ্চা শাকের রয়েছে  অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান যা বিভিন্ন রোগ যেমন- ব্রঙ্কাইটিস, সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশি ও ফ্লু ইত্যাদি থেকে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

হজমে উন্নতি ঘটায়ঃ হেলেঞ্চা শাকে হজমে উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। কারন এতে থাকে ক্লোরোফিল যা হজমক্রিয়ায় উপকারী এনজাইমগুলোকে সহায়তা করে। আর এই এনজাইমগুলো খাদ্য থেকে শরীরে পুষ্টি সরবারহ করতে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাক মাথার ত্বক এবং চুলের উন্নতি সাধন করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  হেলেঞ্চা শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও খনিজ লবণ,প্রচুর পরিমানে সালফার ও জিংক যা চুল পড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা যেমন-  খুশকি দূর করে মাথার ত্বককে সুস্থ রাখা , চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলের পুনরাবিদ্ধিতে করতে সাহায্য  করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাক হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এই শাকে রয়েছে  প্রচুর পরিমানে লুটেইন যা করনারী আর্টারি ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাক থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। লুটেইন প্রধানত ধমনীর সুরক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। এটি ধমনীতে  ক্ষতিকারক প্লাক জমতে বাধা প্রদান করে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরণের হৃদপিণ্ডের রোগ থকে সুরক্ষা প্রদান করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতেবেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কারন এতে এমনকিছু উপাদান যা অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও হেলেঞ্চা শাকের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড রয়েছে যা রক্তে প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের পরিমাণ কমিয়ে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি  ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

স্ট্রোক কমাতে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাক স্ট্রোক কমাতে বিরাট ভূমিকা পালন করে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট ।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাক  ওজন কমাতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে কারন  হেলেঞ্চা শাকে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে।

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ হেলেঞ্চা শাকে রয়েছে  প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা অ্যানেমিয়া বা রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে।এছাড়াও  এই শাকে রয়েছে  ফোলিক এসিড এবং  আয়রন।আর এই ফোলিক এসিড  অস্থি মজ্জায় লোহিত রক্তকণিকার বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এবং  আয়রন হিমোগ্লোবিনের বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *