নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরই সারা দেশ জুড়ে উদযাপিত হবে মকরসংক্রান্তি উৎসব। কিন্তু কেন পালন করা হয় এই উৎসবটি?
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, মকর রাশির অধিপতি হলেন শনি। এই সময় সূর্যদেব তার পুত্র শনির গৃহে ঘুরতে যান। এই দিনটি পিতা পুত্রের সম্পর্কের মিলনের দিন হিসেবে পালন করা হয়।
অন্য আরেকটি কাহিনী অনুযায়ী, মহাভারতের যুদ্ধের সময় কুরুক্ষেত্রের ভূমিতে ভীষ্ম তাঁর প্রিয় প্রপৌত্র অর্জুনের অগুন্তি শরে শরশয্যা। ভীষ্মের কাছে ছিল ইচ্ছামৃত্যুর বরদান যা তাঁর পিতা মহারাজ শান্তনুর তাঁকে প্রদান করেছিলেন। তবু তিনি মৃত্যুবরন না করে শরশয্যায় শুয়ে ভোগ করেছিলেন মৃত্যুর অধিক যন্ত্রণা। কিন্তু কেন? কারণ, সেইসময় সূর্যের দক্ষিণায়ন চলছিল। দক্ষিণায়ন মনে ওই সময় দেবলোকের কাছে রাত বলে ধরা হয়। সবাই যেমন রাতের বেলায় ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে ঘুমোন, ঠিক তেমনই দেবতারাও ওই সময় স্বর্গদ্বার বন্ধ করে টানা ৬ মাস বিশ্রাম নেন। ওইসময় যদি স্বেচ্ছা মৃত্যু বরণ করতেন ভীষ্ম , তাহলে তাঁকে স্বর্গের দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হত দেবতাদের ঘুম ভাঙার। এছাড়াও কথিত আছে যে, সূর্যের দক্ষিণায়নে সময় প্রাণত্যাগ করলে সেই প্রাণের পুনর্জন্ম হয়। আর উত্তরায়ণে সময় প্রাণত্যাগ করলে সেই প্রাণ পৃথিবী থেকে চিরমুক্তি পায়।
সেই কারণেই ভীষ্ম সূর্যের উত্তরায়ন এর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। মকর সংক্রান্তির পূন্য তিথিতে ভীষ্ম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। অন্যদিকে সূর্যের উত্তরায়ন শুরু হল স্বর্গের দ্বার খুলে গেল এবং দেবতাদের ঘুম ভাঙলো। এইকারনে
অন্যান্য সংক্রান্তির থেকে মকর সংক্রান্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।