নিউজ ডেস্ক – ১৯৬২ সালে হওয়া ভারত ও চীনের মধ্যে টানা এক মাসের যুদ্ধে কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরের পাশের আকসাই চীন দখল করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এক বিধ্বংসী যুদ্ধ। সেই সময় নেহেরু সরকারের আমলে যুদ্ধাস্ত্রের দিক থেকে অতোটাও সবল ছিল না ভারত। সেই কারণে চীনের হিংস্রতার সামনে পরাজিত হতে হয় ভারতকে। যদিও এই পরাজকে অভিশাপের বদলে আশীর্বাদ হিসাবেই গ্ৰহণ করেছে ভারত সরকার।
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যার ফলে আমেরিকার সাথে পারমানবিক যুদ্ধের একটা আশঙ্কা তৈরি হয়,চীন এইরকম একটা সু্যোগের অপেক্ষায় ছিল। তবে এই যুদ্ধের কোন ধারনাই করতে পারেননি ভারত সরকার নেহেরু। সেই যুদ্ধে তিব্বত দখল করার পর অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীনকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সেই কারণেই জিনজিইয়াং প্রদেশের সাথে তিব্বতের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে ভারতের সাথে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি হয় এই সীমান্ত সমস্যাই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের সূচনা করে।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে পরবর্তীতে ১৯৬২ সালের ২১ শে নভেম্বর ভারতের সঙ্গে চীনের যে যুদ্ধ হয় সেই যুদ্ধে ভারতের ১০-২০ হাজার সৈন্য অংশগ্রহণ করে পক্ষান্তরে চীনের ৮০,০০০ হাজার সৈন্য অংশগ্রহণ করে। আর টানা এক মাস পরে ১৯৬২ সালের ২১শে নভেম্বর জবনিকা পরে সেই যুদ্ধে। চীনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। যুদ্ধে জয়ী হয়েও আকসাই চীন নিজের দখলে রাখলেও অরুণাচল প্রদেশ ভারতকে ফিরিয়ে দেয় তারা। সেই সময় অরুণাচল প্রদেশ দখলে রাখতে গেলে বেশিদিন অবস্থান করতে হত আর সে সময়ে বরফ পরে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে যেত। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ভারতকে সমর্থন করে।