নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকর্মার যাকে আমরা ইঞ্জিনিয়ারের দেবতা বলি। যিনি নানা ধরনের অপূর্ব সৌন্দর্য জিনিস নির্মিত করেছেন যেমন- দেবতার প্রাসাদ, অলঙ্কার, দেবতাদের অস্ত্র ইত্যাদি।তাই তাঁকে দেবশিল্পীও বলা হয়।এই দেবশিল্পীর বিবরণ অনুযায়ী তাঁর মাথায় মুকুট এবং চারটি হাতে চার ধরনের জিনিস ধারন করে থাকে আর এর মধ্যে একটি হাতে থাকে দাঁড়িপাল্লা।আর এইরূপেই আমরা দেবশিল্পীকে পূজা করে।নিশ্চয় পূজা করার সময় অনেকের মনে মধ্যেই এই প্রশ্নটা উঠেছে যে কেন বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে? এই কেন এর উত্তরটি আর দেরি না করে জেনে নিন।
বিশ্বকর্মা হাতে থাকা দাঁড়িপাল্লাটি হল একটি প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।এই দাঁড়িপাল্লাটির মাধ্যমে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা বোঝাতে চেয়েছেন যে এই পাল্লার দুই দিকে দুই রকম জিনিস দিয়ে জীবনে স্থিরতা বা ভারসাম্য আনা সম্ভব।অর্থাৎ একটি পাল্লায় থাকবে আপনার কর্ম এবং অন্য পাল্লায় থাকবে কাজের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান।এই দুটি জিনিস যদি একসাথে থাকে তাহলে জীবনে ভারসাম্য আসবে কিন্তু কাজ করেই গেলাম জ্ঞানার্জন করলাম না তাহলে জীবনে ভারসাম্য আসবে না।
এছাড়াও কাজ এবং জ্ঞানের মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারলেই জীবনে ভারসাম্য আনতে সম্ভব হবে আর তা না হলে জীবনে ভারসাম্য আসবে না অর্থাৎ কাজ কম করলে জ্ঞান ভারী হয়ে পড়বে, আবার জ্ঞান কম হলে কাজ ভারী হয়ে পড়বে।এরফলে জীবনে ভারসাম্য আনা অসম্ভব।তাই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা এই কাজ এবং জ্ঞানের মধ্যে ভারসাম্য আনতে পেরেছেন।আর তাই এই ভারসাম্য আনার প্রতীক হিসাবে বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা দেখা যায়।