নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের হাতে আসতে চলেছে বুলেটট্রেন। আর এই ট্রেন আসলে ভারতবর্ষ অনেকটা এগিয়ে যাবে। তবে এর আগেই বুলেট ট্রেন এসেছে পৃথিবীর অনেক দেশের হাতে।
ইটিআর-৫০০ ফ্রেচিয়ারোসা, ইতালি: পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামি ট্রেনের মধ্যে এটি একটি অন্যতম।যার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার।ইটিআর-৫০০ ফ্রেচিয়ারোসা হল ইতালির দ্বিতীয় দ্রুতগামী ট্রেন।ফ্রান্সের এলস্টোম এবং বম্বার্ডিয়াম কোম্পানির তত্ত্বাবধানে তৈরি ফ্রেচিয়ারোসা হল ইটিআর-৫০০ এর আধুনিক একটি সংস্করণ।এই ট্রেনগুলো চলাচল করে মিলান-রোম-নেপলস রুটে। এই রুটে বর্তমানে মোট ২৮টি ফ্রেচিয়ারোসা ট্রেন চলাচল করে। মিলান থেকে রোমে পৌঁছুতে একটি বিমানের যা সময় লাগে তার চেয়ে মাত্র ৪০ মিনিট বেশি। এই ট্রেনটি চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত যেগুলি হল-স্ট্যান্ডার্ড, প্রিমিয়াম, বিজনেস এবং এক্সিকিউটিভ।
হারমোনি সিআরএইচ ৩৮০এ, চীন: বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুতগামী ট্রেন হল।যার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৮০ কিলোমিটার।এই ট্রেনটি চীনের সাংহাই-নানজিং রুটে চলাচল করে। ২০১০ সাল অক্টোবর মাসে ‘চায়না রেলওয়ে’ এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই দ্রুতগামী ট্রেন।যার ইঞ্জিনের আকৃতির মাছের মাথার মতো । এই ট্রেন তৈরি হয়েছে অত্যন্ত পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের অ্যালয় সংকর থেকে। এই রকম আকারের জন্য একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে চলার সময় এরোডাইনামিক চাপ থেকে রক্ষা করে ঠিক অন্যদিকে এই ট্রেন সম্পূর্ণরূপে ঝাঁকুনি মুক্ত।
এলস্টোম ইউরোডুপ্লেক্স, ফ্রান্স: এটি হল টিজিভি ডুপ্লেক্সেরই একটি আধুনিক সংস্করণ।যার গতিবেগ টিজিভি ডুপ্লেক্সের সমান। এলস্টোম কোম্পানির তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এই টিজিভি ডুপ্লেক্সের আধুনিক সংস্করণ।এই ট্রেনটির একটি বিশেষত্ব হচ্ছে যে এটি আন্তঃইউরোপীয় রুটে চলাচল করে। এই ট্রেনটির আরেকটি একটি বিশেষত্ব হচ্ছে যে এই ট্রেনটি অনেক কম শক্তি খরচে অধিক গতিতে চলতে পারে। ১,০২০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম এই ট্রেন।
সিমেন্স ভেলারো এভিএস-১০৩, স্পেন: পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের মধ্যে এটি একটি।যা স্পেনের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন।এই ভেলারো-১০৩ এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫৪ কিলোমিটার। স্প্যানিশ ন্যাশনাল রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই দ্রুতগামী ট্রেন। এই ট্রেনটি ৮টি বগিবিশিষ্ট তাই এই ট্রেনেটি ৪০০ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।২০০৭ সাল থেকে এই ট্রেনেটির যাত্রা শুরু হয়েছে।