ওয়েব ডেস্কঃ ছোটো একটা ডিম হাজারো ভিটামিন ভরা।এর ভিটামিন বি ১২ আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের ক্যারোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালে চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।
কেবলমাত্র ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি। যা পেশির ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
ডিমে রয়েছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকে উৎপন্ন ফ্রি র্যাডিক্যাল নষ্ট করে দেয়। এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ডিমের সবচেয়ে বড়গুণ ওজন কমাতে সাহায্য করে ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারা আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায় শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালোরি কমাতে পারে সকালে একটি ডিম খাওয়া। তার মানে মাসে ওজন কমার পরিমান প্রায় তিন পাউন্ড। সমিক্ষায় বলেছেন ৬৫% বডি ওয়েট, ১৬% বডি ফ্যাট, ৩৪% কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমান কমাতে পারে ডিম।
ডিমে আছে আয়রন, জিংক, ফসফরাস। মেনস্ট্রয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা যায়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পরে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিংক শরীরের ইমিউন সিস্টমে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালোরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন।সুতরাং চাঙ্গা থাকতে রোজ ডিম খেতেই পারেন।
নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ডিমে কলেস্ট্রেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরে লিপিড প্রোফাইলে কোন প্রভাব ফেলে না। ডিম রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।