যুদ্ধের সময় রাশিয়া নয় ভারতের কাছে থাকা ইসরায়েলের টেকনোলোজি অস্বস্তির কারন হবে চীনের কাছে

যুদ্ধের সময় রাশিয়া নয় ভারতের কাছে থাকা ইসরায়েলের টেকনোলোজি অস্বস্তির কারন হবে চীনের কাছে

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের হাতে একাধিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। বিশেষ করে সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল অর্থাৎ ভুমি থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম মিসাইল গুলি যে যুদ্ধের সময় বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয় তা ইতিমধ্যে প্রমানিত। তবে ভারতের হাতে থাকা মিসাইল গুলি যে বেশ আধুনিক তা বলাই বাহুল্য। তবে ভারতের হাতে থাকা মিসাইল গুলি এক একটি লঞ্চারে কত গুলি থাকে? বা ধরুন বাকি লঞ্চারে এরকম মিসাইল কতগুলি করে রাখা থাকে তা অনেকেরই অজানা।

বিভিন্ন সার্ফেস টু এয়ার মিসাইলের লঞ্চার প্রতি মিসাইলের সংখ্যা

১/ আকাশ – ৩টি(ভারত)

২/ মেরশাদ – ৩টি

৩/ এস ১২৫/৩০০/৪০০- ৪টি

৪/ এইচকউ ৯- ৪টি

৫/ কুব – ৪টি

৬/ এইচকিউ ২২ – ৪টি

৭/ বাভর ৩৭৩ – ৪টি

৮/ এইচকিউ ১৬ – ৬টি

৯/ বারাক ৮ – ৮টি (ভারত-ইসরায়েল)

১০/ এ্যস্টার – ৮টি

১১/ থাড – ৮টি

১২/ কেএম – ৮টি

১৩/ টোর – ৮টি

১৪/ এস ৩৫০ – ১২টি

বারাক ৮ কে এই কারনে সামরিক বিশেষজ্ঞরা পছন্দ করে। যেখানে এস-৪০০ ব্যটারি পিছু ১৬টি মিসাইল রাখে সেখানে বারাক-৮ এ্য ব্যটারি ৩২টি মিসাইল অর্থাৎ সম্পূর্ন ডবল। ৪৫০কিমি রেঞ্জের দূর্দান্ত AESA রেডার কভারেজ, সম্পূর্ন নতুন ও আধুনিক ECCM সাথে থ্রাস্ট ভিক্টরিং ইঞ্জিন নজেল ও ডুয়েল পাল্স মটরের সাথে বারাক ৮ এর এনগেজমেন্ট ক্ষমতা, ম্যনুয়েভারেবিলিটি ও জ্যমিং প্রতিরোধী ক্ষমতা চীনের আর পাকিস্তানের কাছে সম্পূর্ণ অজানা। এস-৪০০ সেখানে শত্রুদের কাছে অনেক বেশি চেনা। হ্যাঁ চেনা মানেই এই না যে আপনি তাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। এটা ভুল ধারনা যে আমরা যে জিনিস ব্যবহার করছি তা আমার শত্রু বলে সেটা তার বিরুদ্ধে কাজে আসবে না। তবে চেনা শত্রুর থেকে অচেনা শত্রু বেশি ভয়ংকর আর ক্ষতিকারক। এস-৪০০ ভারতবর্ষের শত্রুর কাছে চেনা আর বারাক-৮ অচেনা চ্যলেঞ্জ। যেটার সুবিধা ভারতবর্ষ নিতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *