নিউজ ডেস্কঃ লিচু। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায়। তবে আট থেকে আশি সকলেরই বেশ প্রিয় এই ফল। একাধিক উপকার রয়েছে এই ফলে।
ত্বকের ক্ষেত্রে লিচুর উপকারিতাঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে।লিচু ব্যবহার করে এদের আবির্ভাবকে বাধা দেওয়া যায়।এজন্য ৪/৫ টি লিচুর খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে নিন।এর সাথে একটি কলার একচতুর্থাংশ পরিমান নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।এবং এটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।বয়স বৃদ্ধির মূল কারন হচ্ছে ফ্রি র্যাডিকেলের উপস্থিতি।লিচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর থাকে যা ফ্রি র্যাডিকেলের সাথে মিশে ত্বকের ক্ষতিরোধ করে।
চুলের ক্ষেত্রে লিচুর উপকারিতাঃ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লিচু।একটি পাত্রে ৭/৮ টি লিচুর রসের সাথে ২ টেবিলচামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন।১ ঘন্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।লিচুতে কপার থাকে যা হেয়ার ফলিকলকে উদ্দীপিত করে চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারবিরোধীঃ লিচুর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে এর ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব আছে।গবেষণায় দেখা গেছে যে লিচুতে শক্তিশালী আন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব আছে।বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার কোষের উপর ভালো প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে।
হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারিঃ লিচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।লিচুতে অলিগোনল নামক উপাদান থাকে যা নাইট্রিক অক্সাইডের উপাদানকে উৎসাহিত করে।নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালিকে প্রসারিত করে বলে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।এর ফলে রক্ত পাম্প করতে হার্টের বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয় না।সার্বিক হৃদস্বাস্থ্যের জন্যই লিচু উপকারি।
হজম সহায়কঃ লিচু পরিপাক নালিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।লিচুতে প্রচুর পরিমানে জল ও ফাইবার থাকে বলে পরিপাকে সাহায্য করে লিচু।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে লিচু।