ওয়েব ডেস্কঃ নাসপাতি। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে একাধিক শাকসবজি, ফলের কথা বলে থাকেন। তেমনই একটি ফল হল নাসপাতি।
রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমায়ঃ নাসপাতি রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমায়। একটি গবেষনায় জানা গেছে যারা নাসপাতির জুস খায় তাদের স্মরণশক্তি ভালো থাকে এবং আলো কিংবা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে আসে।
ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইঃ নাসপাতিতে উপস্থিত পলিফেলন তাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।পলিফেলন রক্তে শর্করার পরিমান কমায়। সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি নাশপাতি খেলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ে।এটি চোখ, ত্বক ও কিডনির সমস্যা দূর করে।
গর্ভবস্থায় উপকারিঃ নাসপাতিতে ফলিক অ্যাসিডসহ গর্ভবস্থার জন্য অন্যান্য উপকারি পুষ্টিগুন রয়েছে।চিকিৎসকদের মতে গর্ভবতী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ফলিক অ্যাসিডের পরিমান সবচেয়ে বেশি থাকে।
অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণঃ শিশুদের প্রায়ই প্রথম ফল হিসাবে নাসপাতি দেওয়া হয়।শুধু পুষ্টিগুণের জন্য নয় এটি অ্যালার্জির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়।যারা প্রায় হালকা জ্বর ও অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য নাসপাতি খুবই উপকারি।
হাড়ের ক্ষয়রোধ করেঃ উচ্চ মাত্রায় মিনারেল থাকার কারনে নাসপাতি দেহে ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। এটি হরমোন উৎপাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে।এছাড়া নাসপাতিতে আছে হাড়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন কে।এছাড়াও দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাসপাতির রস ও অল্প ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়। খুশকি ও মাথার চুল পরে গেলে নাসপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে নাসপাতির জুড়ি নেই। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পর নাসপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।