হাঁটুর ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক এবং আয়ুর্বেদ মতে পায়ে রুপোর নুপুর পড়ার উপকারিতা

হাঁটুর ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক এবং আয়ুর্বেদ মতে পায়ে রুপোর নুপুর পড়ার উপকারিতা

নিউজ ডেস্কঃ পায়ের তোড়া বা নুপুর মেয়ে একটি অন্যতম অলংকার।বর্তমান দিনে পায়ে নুপুর পড়া চলটা কমে গেছে কিন্তু আগেকার দিনে এই চলটা খুবই ছিল।বর্তমান দিন হোক বা আগেকার দিন আমরা সব সময় পায়ে রুপোর নুপুর পড়তে দেখি মেয়েদের।পায়ে রুপোর নুপুর পড়তে হয়  একটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কেন পায়ে রুপোর নুপুর পড়তে হয় সেটা অনেকেই জানেন না বলেই চলে? তাহলে জেনে নিন কেন পায়ে রুপোর নুপুর পড়ে এবং তার ফলে কি উপকার পাওয়া যায়।

বৈজ্ঞানিক কারণ অনুযায়ী বলা হয়  আয়ুর্বেদের মতে, সব সময় মাথা ঠাণ্ডা আর পা গরম রাখা উচিত। তাই মাথায় সোনার গয়না পড়লে শরীরে তৈরি হওয়া উষ্ণতা পা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। আর পায়ে রুপোর নূপুর পড়লে যে শীতলতা তৈরি হয় কারন রুপো শীতল অনুভূতি প্রদান করে ।তাই এটি পায়ে পড়লে নুপুরের থেকে তৈরি শীতলতা শরীর বেয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছোয়। তাই পায়ে রুপোর নুপুর পড়া ভালো।

রুপোর নূপুরে এমন কিছু উপাদান থাকে  যা  কোমর ব্যাথা, হাঁটু ব্যাথা ইত্যাদি এইসব ধরনের ব্যাথা কমাতে  সাহায্য করে।এছাড়াও পায়ের পাতা, গোড়ালি ফোলা ইত্যাদি এই সব ধরনেরও  সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে রুপো।

রুপোর গয়নাটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

রুপোর নূপুর শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন গায়নোলোজিক্যাল সমস্যা যেমন অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা, হরমনের অসামঞ্জস্যতা জনিত নানান সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে।

এই ধার্মিক কারণ অনুযায়ী, সোনাকে বলা হয় লক্ষ্মীর প্রতীক এবং তাই এটিকে লক্ষ্মী রুপে  পূজা করা হয়। তাই একে পায়ে পড়া উচিত নয় বলে অনেকেই মনে করেন।এছাড়াও হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী সোনার গয়না প্রধানত দেব-দেবীরা পরেন। তাই সোনার গয়না পায়ে পরা ‘অশুভ’ অনেকেই মনে করেন।আর এটি পায়ে সোনার নুপুরের বদলে রুপোর নুপুর পড়া হয়।রুপোর নূপুর পড়ার কিছু কারণ যেমন, যদি কোমর ব্যাথা, হাঁটু ব্যাথা এসব সমস্যায় ভোগেন তাহলে রুপোর নূপুর এই সব বাথা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সাহায্য করে। রুপোর নূপুরে এমন কিছু উপাদান থাকে যা এই ধরনের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *