নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ এখন দেশীয় প্রযুক্তির উপর জোর দিয়েছে আর সেই কারনে একাধিক প্রোজেক্ট তৈরির পাশাপাশি তার উপর জোর দেওয়া শুরু করেছে। ভারত তার নিজস্ব (IRST) ইনফ্রারেড সার্চ এন্ড ট্রাক প্রোগ্রাম বিকশিত করতে চলেছে। স্টেলথ বিমানকে শনাক্ত করতে এই টেকনিক খুব জরুরী।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিধান্ত নিয়েছে একটি ডুয়াল ব্যান্ড ইনফ্রারেড সার্চ এন্ড ট্র্যাক সিস্টেম ডিজাইন ও ডেভেলপ করার, যেটা ভারতের বিমানবাহিনীর বিমানগুলো কে শত্রুর স্টেলথ বিমান শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারবে।
IRST তাপমাত্রা পার্থক্য বুঝতে সক্ষম। বায়ু মণ্ডলে, এটি তরল হাইড্রোজেন বা নাইট্রোজেন ব্যবহারে তৈরি, যা অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া তৈরি করে এর অভ্যন্তরে আর বায়ু মণ্ডলে তাপমাত্রা সঙ্গে এক ব্যবধান তৈরী করে, বায়ুমণ্ডল উপরের দিকে এমনি ঠান্ডা আর কোন স্টেলথ যুদ্ধবিমান এই বায়ু মণ্ডলে 100 knot বা তার বেশী সুপার সোনিক গতিতে গেলে বায়ু মন্ডলের আশেপাশে উত্তপ্ত করে তোলে যা এক বিশাল ব্যবধান তৈরী করে হুমিড জোলিও কন্ডিশন। কিন্তু IRST ভালো কাজ করে না , রাতের ঠান্ডা আকাশে এই সিস্টেম অধিক কার্যকর।
IRST হিট সিকিং সিস্টেম অর্থাৎ তাপ খুঁজে বেড়ায়। ইনফ্রারেড প্যাড মত কিন্তু প্যাড মত খালি সামনে না, এটি প্রতিটি আলাদা আলাদা উড়ন্ত বস্তুকে ট্র্যাক এবং সার্চ করতে পারে। রাডার যেমন তরঙ্গ ছেড়ে তা ধাক্কা খেলে তার দ্বারা শত্রুর পজিশন বুঝতে পারে কিন্তু এর ফলে সেই তরঙ্গ উৎপত্তি স্থল শত্রু বুঝতে পারে তার ইলেকট্রনিক বাবস্থ্যা দিয়ে। কিন্তু IRST খালি তাপমাত্রা খুঁজে বার করে নিজের কোন অবস্থান শত্রুকে জানায় না। এরা প্যাসিভ সেনসর কোন অবস্থায় আছে তা এরা নিজের অবস্থানে ফাঁস করে না। অপরদিকে রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার RWR কিন্তু শত্রুকে রাডার ট্রাকিং করছে তাকে এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে দেয়।
যুদ্ধে IRST পাইলট কে বাড়তি সুবিধা দেয়, রাডার অন না করে সে বিপক্ষের বিমানকে এনগেজমেন্ট করতে পারে নিজেকে এক্সপোজ না করে। ডিফেন্স অকুইজিশন কাউন্সিল DAC মঞ্জুরি দিয়েছে একটি ডুয়াল ব্যান্ড IRST ডিজাইন ও ডেভেলপ করতে, আর অন্তত 100 টি এই জাতীয় দেশীয় সিস্টেম তারা সংগ্রহ করবে। এটি দিন এবং রাতে ব্যাবহার করা যাবে ও যুদ্ধবিমানগুলো সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
এই IRST সিস্টেম ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের AMCA প্রোগ্রাম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ , এগুলো হিট সিকিং মিসাইল শনাক্ত করতে পারবে আর রাডার প্রনালী ব্যাবহার না করে শত্রুর মোকাবেলা করার ক্ষমতা দেবে বিমানগুলোকে ।