চীনের লালফৌজেক জবাব দিতে ভবিষ্যতে রণনীতি পরিবর্তনের পথে ভারতের সেনাবাহিনী

চীনের লালফৌজেক জবাব দিতে ভবিষ্যতে রণনীতি পরিবর্তনের পথে ভারতের সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্কঃ সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে শুধু যুদ্ধাস্ত্র নয় পাশাপাশি একাধিক টেকনিকের পাশাপাশি যুদ্ধের আধুনিক আদবকায়দা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গোপন অপারেশান এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া, সব কিছু শিখেছিল ভারতবর্ষ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মধ্য গগনে। বাঁধভাঙা জলের মতো এগিয়ে আসছে দুর্দমনীয় জার্মানের নাৎসি বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করতে হিটলারের আদেশে চলছে ‘অপারেশন বারবারোসা’। কীভাবে বাঁচবে দেশ? চিন্তায় ঘুম উড়েছিল সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্তালিনের। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যতটা সম্ভব দেশের ভিতরে সরিয়ে নেওয়া হবে অস্ত্র কারখানাগুলিকে। পাশাপাশি অস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়ে মরণপণ লড়াই চালাতে হবে। নজির গড়ে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করল বলশেভিক দেশটি। চাঙ্গা করে তোলা হল লালফৌজকে। শুরু হল সোভিয়েতের পালটা মার। বাকিটা ইতিহাস। সেই সোভিয়েতের রণনীতি মেনেই বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় সেনা।

সেনা সূত্রে খবর, আগ্রাসী চিনকে নজরে রেখে অন্ধ্রপ্রদেশে অত্যাধুনিক কৌশলগত একাধিক সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে। প্রকাশম জেলার দোনাকোন্ডায় একটি হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। অনন্তপুর জেলায় ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরির কারখানা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশে অস্ত্র উৎপাদন শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে সেনা। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল ভূখণ্ডের গভীরে হওয়ায় এই জায়গাগুলি দেশের মধ্যে বেশ নিরাপদ। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এখানে সহজে হামলা চালাতে পারবে না শত্রুপক্ষ। ফলে নিরাপদে অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে চিন এবং পাকিস্তানের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৯৬২-র যুদ্ধে অসমের তেজপুর পর্যন্ত চলে এসেছিল চীনের লালফৌজ। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে সেনাবাহিনী। এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছিলেন, হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়ে বায়ুসেনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চেন্নাইয়ের কাছে আরাক্কুনামে রয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি।

উল্লেখ্য, একাধিক সময় লাগাতার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে চিনা সেনা। উত্তরাখণ্ডে গত আগস্টে ভারতীয় সীমার প্রায় চার কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছিল চীনের সেনা। ফলে কমিউনিস্ট দেশটির অভিসন্ধি স্পষ্টই বোঝা পরিষ্কার। কয়েকদিন আগেই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত সাফ জানিয়েছিলেন, দুই ফ্রন্টেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। ইতিমধ্যেই সেই পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দেশ।কিছু মাস আগেই আকাশেই জ্বালানি ভরা হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তেজস যুদ্ধবিমানে। আমেরিকা, রাশিয়ার মতো বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশগুলির হাতেই এই প্রযুক্তি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *