নিউজ ডেস্কঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বেশ কিছু এমন বন্দুক তৈরি হয়েছিল যা মানবজাতিকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তবে সময়ের সাথে বিধ্বংসী এবং উন্নতমানের বন্দুক তৈরি হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশের সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে। এই বন্দুকগুলোর এত ক্ষমতা! শুনলে চমকে যাবেন
ইজরায়েল আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিশ্বের বেশ কিছু শক্তিধর দেশ এই ধরনের ঘাতক বন্দুক ব্যবহার করে। এর মধ্যে কোনওটি থেকে ১৬ লক্ষ গুলি বেরোয় তো কোনওটি আবার একসঙ্গে দুটো নিশানা বানাতে পারে।
১/ এক্সএম ২৯: মার্কিন সেনারা এই ঘাতক বন্দুকটি ব্যবহার করে। এটি সেমি-অটোমেটিক স্মার্ট গ্রেনেড লঞ্চার। এর বিশেষত্ব হল একই সময়ে দু’জায়গায় একসঙ্গে নিশানা করতে পারে। যে কোনও চলমান বস্তুকে নিখুঁত ভাবে টার্গেট করতে এর জুড়ি মেলা অসম্ভব।
২/মেটাল স্টর্ম সেন্ট্রি গান: এক মিনিটে ১৬ লক্ষ গুলি বেরোয় এই গান থেকে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে কাজ করতে পারে এই ঘাতক বন্দুকটি। এক সঙ্গে ২৪ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
৩/কর্নার শট: স্রষ্টা ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যামোস গোলান। কোণায় লুকিয়ে থাকা যে কোনও লক্ষ্যবস্তুর সামনাসামনি না গিয়েও হামলা চালানো যায় এই বন্দুক দিয়ে। জঙ্গি হামলা কিংবা পণবন্দি বানানোর মতো ঘটনার মোকাবিলায় দারুন কাজ করে এই বন্দুক।
৪/রেল গান: ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পাল্স-কে কাজে লাগিয়ে এই বন্দুক ব্যবহার করতে হয়। সেকেন্ডে ২.৪ কিলোমিটার বেগে ১৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম। মার্কিন নৌবাহিনী ব্যবহার করে এই বিশেষ বন্দুকটি।
৫/এক্সএম ২৫: হালকা ওজনের গ্রেনেড লঞ্চার। এক বারে ২৫টি গ্রেনেড ছোড়ার ক্ষমতা রাখে। ৬০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম। এই বিশেষ লঞ্চারটি।