নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ যে দেশীয় প্রযুক্তিতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে তা ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। তবে ভারতবর্ষের হাতে যেসময় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করবে সেই সময় পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমানের পরীক্ষা সেরে ফেলবে। আর সেই কারনে ভারতবর্ষ তাদের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানকে এগিয়ে নিয়ে অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের বিমান তৈরির কথা চিন্তা করেছে। শুধু তাই নয় এই দেশীয় যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিদেশ থেকে আসার কথা থাকলেও তা দেশেই তৈরি করার কথা চলছে।
ভারতের ৫.৫ প্রজন্মের স্টেল্থ ফাইটার আমকা ডেভেলপমেন্টের জন্য ডিআরডিও হ্যল ও একটি প্রাইভেট সেক্টর যৌথ ভাবে কাজ করবে। যেখানে প্রাইভেট সেক্টের আমকা তৈরিতে নিজের ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমকা তৈরির জন্য ২৫০০কোটি টাকার প্রয়োজন পরবে। যেহুতু ভারতে এখন যুদ্ধবিমান উৎপাদনের জন্য প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই তাই হ্যল ও পাব্লিক সেক্টরের বিভিন্ন ইনফ্রাস্ট্রাক্চার গুলিকে প্রাইভেট কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়া হবে। এর ফলে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রির আলাদা ভাবে ব্যপক খরচ করে ফাইটার উৎপাদনের ইন্ফ্রাস্ট্রাক্চার তৈরি করতে হবে না। তারা আমকা সার্ভিসে আসার আগে ধিরে ধিরে নিজের ইনফ্রাস্ট্রাক্চার তৈরি করতে পারবে।
আমকার প্রথম প্রোটোটাইপ তৈরি হবে ব্যঙ্গালোরে আর প্রোডক্সান হবে হ্যলের নাসিক ম্যনুফ্যক্চারিং ইউনিটে প্রাইভেট কম্পানির তত্বাবধানে। অর্থাৎ ভারতের আমকা দ্রুত তৈরি করতে এবার ঝাপিয়ে পরবে TATA & Larsen Toubro এর মত একাধিক সংস্থা। কে-৯ বজ্রের মত আর্মস গুলি কত দ্রুত আর সুন্দর ভাবে ডেলিভারি দিয়েছিল Larsen & Toubro । প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে যথেষ্ট প্রভাব পরবে ভারতের এ্যরোস্পেশ ইন্ডাস্ট্রিতে।
ডিআরডিও এর ডাইরেক্টর জি সতীশ রেড্ডি জানান “ভারত যখন তেজস তৈরি করছিল তখন হাতে গোনা কয়েকটা প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি ছিল। আজ ভারতে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ১৮০০০।” মনে রাখতে হবে পশ্চিমি দেশ গুলি সমস্ত মিলিটারি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রির দ্বারা হয়। সরকারী ল্যব ও অন্যান্য ইন্ফ্রাস্ট্রাক্চারের সহায়তা প্রয়োজনমতো সব সময় পায় প্রাইভেট কোম্পানি গুলি। মূলত প্রযুক্তি পাবলিক ইন্ডাস্ট্রি প্রযুক্তি দিয়ে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিকে সহায়তা করে। ফলে প্রাইভেট কোম্পানি দ্রুত উন্নতি করতে পারে অস্ত্রের মানের দিকে। সেইপথেই ভারত। আমকার ইন্ডাক্সান শুরু হবে ২০২৮সালে। এক্ষেত্রে হ্যলের শেয়ার থাকবে ৫০শতাংশের নীচে।