নিউজ ডেস্কঃ মুনিঋষিরা পুজা অর্চনায় যেসব জিনিস ব্যবহার করতেন তা নিয়ে কখনও ভেবে দেখেছেন! অর্থাৎ কেন তারা ব্যবহার করতেন? ধরুন এই আমপাতা? বা ধরুন তুলসি পাতা? আসলে ব্যস্ত সময়ের মধ্যে আমরা সেইভাবে ভেবে দেখিনা ব্যাপারগুলি।
নিরাময় ক্ষমতাঃ তুলসি পাতার অনেক ওষুধি গুন আছে।তুলসি পাতা নার্ভ টনিক এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারী। এটা শ্বাসনালি থেকে সর্দি কাশি দূর করে।তুলসির ক্ষত সারানো ক্ষমতা আছে।তুলসি পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে ও অনেক বেশি ঘাম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে।
জ্বর ভালো করেঃ তুলসির জীবানু নাশক, ছত্রাক নাশক, ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারন জ্বর থেকে ম্যালেরিয়া জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসি পাতা।
ডায়াবেটিস নিরাময় করেঃ তুলসি পাতায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল ও ক্যারিওফাইনিল উৎপন্ন করে।এই উপাদানগুলো অগ্নাশয়ের বিটা সেলকে কাজ করতে সাহায্য করে (বিটা সেল ইনসুলি জমা রাখে ও নিঃসৃত করে)।যার ফলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।এতে ব্লাড সুগার কমে এবং ডায়াবেটিস ভালো হয়।
ক্যান্সার নিরাময় করেঃ তুলসির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সারের বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারন এর উপাদানগুলি টিউমারের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়।উপকার পেতে প্রতিদিন তুলসি রস খান।
শিশুদের বিভিন্ন অসুখ যেমন-ঠাণ্ডা, জ্বর, ডায়ারিয়া, বমি ইত্যাদি ভালো করে।শিশুদের চিকেন পক্সের দাগ যদি না যায় তাহলে তুলসির রসের সাথে জাফরান মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাগ দূর হবে।
তুলসি পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে।
মাথা ব্যাথা ভালো করতে পারে।এর জন্য চন্দনের পেস্টের সাথে তুলসি পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথা ব্যাথা ভালো হয়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে।