আমেরিকার থেকে নকল করেছে এই যুদ্ধবিমান চীন। কিছু ক্ষেত্রে অ্যামেরিকাকে ছাপিয়ে গেছে চীনের যুদ্ধবিমানটি। দেখুন ক্ষমতা

নিউজ ডেস্কঃ চীন এবং আমেরিকা যে এখন সাপে নেওলে সম্পর্ক তা হয়ত সকলেরই জানা। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনা এতোটাই প্রবল হয়েছে যে যেকোনো মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে আমেরিকা ইতিমধ্যে একাধিক দেশকে সাথে নিয়ে সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে।

তবে চীন কোনও কিছুতেই তাদের প্রভাব কমাতে চাইছেনা। আর সেই কারনে একাধিক যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে। তবে তাদের বেশিরভাগ জিনিসই যে চুরি করা তা হয়ত সকলেরই জানা। বিশেষ করে কিছুদিন আগে তাদের যে পঞ্চম প্রজন্মের বিমান সামনে এনেছে তা নিয়ে আলোচনা হলেও সমালোচনা কম হয়নি। কারন তাদের এই যুদ্ধবিমান টি আমেরিকার এফ ৩৫ এর ডিসাইন চুরি করে করা হয়েছে।

চীনের বিমানবাহিনীর যুদ্ধ ইউনিটে অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান যুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনাকে চীনা বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। চীনা বিমান বাহিনীর মুখপাত্র শেন জিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, জে-২০ স্টিলথ বিমান যুক্ত হওয়ায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ‘পবিত্র মিশন’ পরিচালনার সক্ষমতা অর্জিত হলো। পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা ধরে রাখাও এখন সহজ হবে।

চীন জে-২০ বিমানের প্রথম উড্ডয়ন পরিচালনা করেছিল ২০১১ সালে এবং আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের বিমান এফ-২২ এবং এফ-৩৫’র জবাবে বেইজিং জে-২০ বিমান তৈরি করেছে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ চীনে এ বিমানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এছাড়া, চীনা পিপল’স লিবারেশন আর্মির ৯০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে এ বিমান প্রদর্শন করা হয়। বিমানটি দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে তবে বিমানের ইঞ্জিন শক্তির জন্য চীনকে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কারন চীনের এই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন আর ভারতের সুখই সু ৩০ র ইঞ্জিন এক। এর বেশিরভাগ জিনিসই আমেরিকার এফ ৩৫ থেকে নকল করা হয়েছে। তবে এই দুই যুদ্ধবিমানের তুলনা করা হলে এগিয়ে থাকবে কোন যুদ্ধবিমান?

এফ ৩৫(আমেরিকা)

পাইলট-১

লম্বা-৫১.৪ ফুট

উচ্চতা-১৪.৪ ফুট

খালি অবস্থায় ওজন-১৩২৯০ কেজি

অস্ত্র নিয়ে-২২৭৪১ কেজি

সর্বচ্চ অস্ত্র বহন করতে পারে-৩১৭৫১ কেজি

সর্বচ্চ জ্বালানি নিতে পারে-৮২৭১ কেজি

সর্বচ্চ গতি-১২৯৬/ঘণ্টা

পথ অতিক্রম করতে পারবে একবার জ্বালানি নিয়ে-২৮০০কিমি

সর্বচ্চ উচ্চতা দিয়ে উড্ডয়ন করতে সক্ষম-৫০,০০০ ফুট

হামলা চালাতে পারে

আকাশ থেকে আকাশে

আকাশ থেকে ভুমিতে

অ্যান্টিশিপ হামলাতেও পারদর্শী

জে ২০(চীন)

পাইলট-১

লম্বা-৬৬.৮ ফুট

উচ্চতা- সঠিক জানা যায়নি

খালি অবস্থায় ওজন-১৯৩৯১কেজি

অস্ত্র নিয়ে-৩২০৯২ কেজি

সর্বচ্চ অস্ত্র বহন করতে পারে-৩৭০১৩কেজি

সর্বচ্চ জ্বালানি নিতে পারে-১১৩৪০কেজি

সর্বচ্চ গতি- আনুমানিক ২৩০০ কিমি/ঘণ্টা

পথ অতিক্রম করতে পারবে একবার জ্বালানি নিয়ে-৬০০০ কিমি

সর্বচ্চ উচ্চতা দিয়ে উড্ডয়ন করতে সক্ষম-৬৬০০০ ফুট

হামলা চালাতে পারে

সেই ব্যাপারে বিশেষ কিছু উল্লেখ নেই। পাশাপাশি এই যুদ্ধবিমানটিকে এখনও পর্যন্ত তারা সারা বিশ্বের সামনে নিয়ে এসে প্রমান করতে পারেনি। পাশাপাশি তারা এই যুদ্ধবিমানকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে অভিহিত করে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স তারা বাড়িয়ে লিখেছে তো কিছু ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য দেয়নি, অর্থাৎ চীনের জিনিস নিয়ে সঠিকভাবে বলা খুব মুশকিল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞের। কারন তারা কোনও এয়ার শো তে তাদের বিমান নিয়ে এসে প্রমান করেনা। সব দিক থেকে দেখতে গেলে আমেরিকার এফ ৩৫ চীনের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *