মহালয়ার মানে পিতৃপক্ষের শেষ দেবীপক্ষের আগমন।তাই এই দিনটির প্রতিবছর সুচনা আমরা করি ভোরবেলায় মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রপাঠ দিয়ে।তারপর সকালবেলায় পুরুষেরা গঙ্গায় গিয়ে তর্পণ করে। ভোরবেলায় আমরা সবাই টিভিতে দেখি এবং শুনি দেবীদুর্গার ‘মহিষাসুরমর্দিনীর’ অনুষ্ঠানটি ।বর্তমানদিনে আমরা এই মহিষাসুরমর্দিনীর অনুষ্ঠানটি নানাভাবে দেখি টিভিতে।এই ‘মহিষাসুরমর্দিনীর’ অনুষ্ঠানটি হিন্দুদের কাছে একটি আলাদা মাহত্ম্য আছে।তাই অনুষ্ঠানটি যেমন একটি মাহত্ম্য আছে ঠিক তেমনি এই অনুষ্ঠানটি প্রতি যার অবদান রয়েছে তার মাহত্ম্য আমাদের কাছে ততটায়।ঠিকই ধরেছেন এখানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কথায় বলা হচ্ছে।এই অনুষ্ঠানটি পিছনে যার অবদান অনস্বীকার্য।তাই একবার ফিরে তাকায় ইতিহাসের পাতার দিকে কারন ‘মহিষাসুরমর্দিনীর’ অনুষ্ঠানটি কথা বলতে গেলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে বাদ দেওয়া চলে না কারন এনার হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই অনুষ্ঠানটি।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যিনি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক।তিনি ১৯৩০-এর দশক থেকে সুদীর্ঘকাল অল ইন্ডিয়া রেডিওয় বেতার সম্প্রচারকের কাজ করেছেন। তবে তিনি সর্বাধিক পরিচিতি ভাল করেছিলেন মহিষাসুরমর্দিনী নামক বেতার সঙ্গীতালেখ্যটির মাধ্যমে। তিনি ১৯৩১ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেবী দুর্গার পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বন করে আকাশবানী থেকে দুই ঘণ্টার ব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করেছিলেন।মহালয়ার দিন ভোর চারটের সময় এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হত।এই অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা করেছিলেন বানীকুমার ভট্টাচার্য ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভাষ্য ও শ্লোকপাঠ করেছিলেন।